মনের মুখোশ
লেখায়:- আমি ফেরদৌস আহমেদ।
বই :-কালের চিত্র
বিমর্ষ বিষাদের কষাঘাতে ম্লান,
হাহাকার ভয়ে ভরা ক্ষুধাতুর প্রাণ।
উকুন আঠালি খেয়ে যায় মাথা খানি,
তেল নেই ঘা হয়ে পড়ে পুঁজ পানি।
উদাসীন দুই চোখে চাও তুমি যদি ,
মনে হবে যেন এক খরস্রোতা নদী!
ঠোঁট দেখে মনে হয় চৈত্রের মাটি,
রসহিন খরদাহে গেছে যেন ফাটি!
শুষ্ক মলিন মুখে শত অনুতাপ,
হৃদয়ের ঝড় তোলা বেদনার চাপ।
গলায় কণ্ঠনালীর ওঠানামা দেখে
বোঝা যায় শত তৃষা জমে আছে বুকে।
বসনের জোড়াতালি ময়লার জট ,
কাপড়ের পরিচয়ে আসলে সে চট।
নিথর হস্ত পায়ে জোর বল নাই
বাঁধা নেই মশা মাছি খেয়ে যায় তাই।
অসহায় মা-বাবার এই পরিচয়়
দিতে গিয়ে লাজ লাগে না দিলেও নয়!
তাহাদের ঘরবাড়ি কোন কিছু নাই
বাংলার পথে পথে পড়ে আছে তাই।
ছেলে মেয়ে কোথা আছে নাই কোনো খোঁজ
উহারা পশুর মত ইতর অবুঝ।
পশুরা পশুর কাজে সভ্যরা কই
আমরা ক জন তাদের বুকে টেনে লই?
ক জনে আমরা তাদের স্নেহ মায়া করে
ভালোবেসে নিয়ে যাই নিজেদের ঘরে?
সবাই তাদের নিয়ে নানা কথা কই
ভালোবেসে কাছে নিতে কেউ রাজি নই।
তাদের পক্ষে কেহ করে না কো কাজ
এটা কে বলছি আবার সভ্য সমাজ।
আসলে সভ্যতা মোদের মনের মুখোশ
আড়ালে আমরা সবাই বেভূল বেহুঁশ।