কুসংস্কার
লেখায়;- ফেরদৌস আহমেদ।
গাঁও গেরামের মুরুব্বীরা আজও শুনি কয়
ঝঁট বাঁধানো কলা খেলে জমজ বাচ্চা হয়।
অন্তঃসত্ত্বা মাছ কাটিলে সূর্যগ্রহণ কালে
পেটের বাচ্চা ঠোঁট কাটা হয় দাগ পরে তার গালে।
যার বাড়িতে গাছের ডালে ডাকবে কুটুম পাখি
সাত সকালে তার বাড়িতে মেহমান আসে না কি!
অকল্যাণ আর অমঙ্গলে রাখবে তারে ঢেকে
বাড়ি থেকে বের হবে যে খালি কলস দেখে।
ভাঙ্গা আয়নায় মুখ দেখিলে কপাল নাকি পুড়ে
মাথার সিঁথি বড় করলে বিয়ে হবে দূরে।
পরীক্ষার দিন ডিম খেয়ে যে বিদ্যালয়ে যাবে
পরীক্ষাতে ডিমের মতোই গোল আলু সে পাবে।
পান খেয়ে যে ঘরের বেড়ায় মুছবে হাতের চুন
তাহার না কি অভাব বেড়ে হইবে দু তিন গুণ।
ঘরের লক্ষী ঢালা কুলা লাগবে যাহার পায়
তাহার ঘরের লক্ষী না কি নির্বাসনে যায়।
রাতের বেলা যে জন দেবে টাকা পয়সা ধার
তাহার ঘরের অভাব না কি দূর হবে না আর।
নতুন বধু নাইয়র গেলে শনি মঙ্গল বারে
বারের দোষে তাহার না কি ক্ষতি হইতে পারে।
ঝড় বাদলের সাথে কভূ শিলাবৃষ্টি এলে
থেমে যায় তা শিল আর পাটা বাইরে ফেলে দিলে।
চেড়া জু*তা পুরনো ঝা*ড়ু বেঁধে দিলে গাছে
বদ নজরের কবল থেকে গাছটি না কি বাঁচে।
জ্ঞান বিজ্ঞানে পরিপূর্ণ আধুনিক এই যুগে
অনেক মানুষ ভোগে এমন কুসংস্কারের রোগে।
যারা এসব মানেন তাদের বলছি শোন ভাই
ইসলামে ভাই এসব কথার কোন ভিত্তি নাই।
কম্পিউটারের যুগে গাইলে ভিত্তি বিহীন গান
বিজ্ঞানের মান ইজ্জত আর সমাজের যায় মান।