নারী ছাড়া জীবন
লেখায়:-ফেরদৌস আহমেদ।
কালকে আমার মাতৃহারা, ছোট শালির বিয়ে
গিন্নি গেছে বাপের বাড়ি, মা কে ও গেছে নিয়ে।
ছোট্ট বোন টি যাইতে চায়নি, বাইন্ধা নিছে তারে
“খালার বিয়ে “মেয়ে আমার, না গিয়ে কি পারে!
আমার উপর রাইখা সংসার রাইখা সারা বাড়ি
বিয়ে খেতে চলে গেল ,বাড়ির সকল নারী।
গিন্নি আবার দুপুরের ভাত, রেখে গেছে রেঁধে
দুই তিনটা দিন রাইন্ধা খাইতে, বলে গেছে কেঁদে।
দুপুর বেলা খাইলাম বউয়ের, রাইখা যাওয়া ভাত
রাতের বেলা রান্তে গিয়ে ,পুড়ে ফেললাম হাত।
চুলার ধোঁয়ায় চোখ দুইটা ,ফুলে হল লাল
কাশতে কাশতে ভাঙলো গলা, ফুলে গেল গাল।
ভাঙ্গা গলা ফোলা দু চোখ, ডেকে আমায় কয়
“বুঝে নে ভাই” নারী ছাড়া, জীবন কেমন হয়!
ভাত রাঁধিতে কত চালে, লাগে কত পানি
আমি হলাম পুরুষ মানুষ, আমি কি আর জানি!
একলা খাব ভেবে চিন্তে, চাল দিলাম এক মগ
না বুঝিয়া দিয়ে দিলাম, পানি আড়াই জগ।
রান্নাবাড়া করে দেখি, করছি এমন কাম
এমন খাবার হইছে রে ভাই, নাই কোন যার নাম।
না হইছে ভাই ক্ষীর খিচুড়ি, না হইছে ভাই ভাত
মুখে দেওয়া দূরের কথা ,যায় না দেওয়া হাত।
কষ্ট কইরা রাধঁলাম যে ভাত, পরল না তা পেটে
পেটের মধ্যে উঠলো জ্বালা, পেটের ক্ষুধার চোটে।
কানের কাছে আইসা আমার, পেটের ক্ষুধা কয়
“দেখছনি ভাই” নারী ছাড়া, জীবন কেমন হয়!
খালি পেটেই শুইলাম রাগে, ফুলাইয়া দুই গাল
ভোরে উঠে দেখি গায়ের, তুইলা নিছে ছাল।
মশারিটা টাঙায়নি কেউ, এই সুযোগে মশা
ছাল চামড়া তুলে আমার ,করছে এমন দশা।
মশার কামড় খেয়ে গায়ের, চুলকানিরা কয়
“দেখছনি ভাই” নারী ছাড়া, জীবন কেমন হয়!
নারী ছাড়া জীবন কেমন, বুঝলাম তা একরাতে
বুঝতে গিয়ে এক রাতেই ,ফুসকা পড়ছে হাতে।
নারী ছাড়া এক রাতেই, হইছে এমন হাল
পেটের গেছে নাড়িভুঁড়ি ,পিঠের গেছে ছাল।