Posted on

পাঙ্গাশ মাছ

মোস্তফা জামাল গুমুজী

এক জেলের ছিলো,
এক কোমল মতি ছেলে।
মাছ বিক্রয় করত সে,
খুব হেসে খেলে।

একদিন সে মাছ নিয়ে,
আমাদের গাঁয়ে এলো।
রাত কাটাবার জন্য একটু,
জায়গা চাহিলো।

হোটেলেতে টাকা দিয়ে
খানা সে খায়।
মাঝে মাঝে এখানে এসে
রাত্রি কাটায়।

আমাদের কাছে তার
মনের কথা কয়।
কিছু দিনের মধ্যে,
মোদের খুব মিল হয়।

আমাদের এখানে
এক মাদ্রাসা আছে।
ছোট্ট এক পুকুর আছে,
তাহার পার্শে।

সেই খানাতে দুটি পাঙ্গাস
ছাড়িয়া দিলো।
দিনে দিনে মাছ গুলো,
অনেক বড় হইলো।

একদিন শিক্ষক সাহেব
সংকল্প করে।
প্রের দিন জেলে ডেকে
মাছ গুলো ধরে।

মাছ ধরিল হরেক রকম
রুই মৃগেল কাতল।
ছিলভার কার্প গ্লাস কার্প,
পাঙ্গাস ও চিতল।

শিক্ষক বলেঃ অল্প মাছ, তাই
বিক্রয় করে দেব।
সেই টাকা দিয়ে আমি
অন্য মাছ ছারিব।

জনৈক ছাত্র মস্কারি করে বললঃ
মাছ কিনে নেবো।
চাঁদা তুলে আমরা সবায়,
পিকনিক খাবো।

সম্মানিত শিক্ষক সাহেব,
এই কথা শুকিয়া।
মনে মনে গেলেন তিনি
অনেক রাগ হইয়া।

এক মুহূর্ত সেই খানেতে
দেরী না করিয়া।
বাড়ীতে রওয়ানা হলেন,
বাই সাইকেলে চরিয়া।

যাবার সময় বললেন সে,
আমি কি এতই নির্দোয়?
ছাত্রদের কাছে আমার,
মাছ বিক্রয় করতে হয়।

একটু কথার জন্য ইহা
কি হইল হায়!
সকল ছাত্রের মনেতে
দুঃখ আসিল তাই।

কয়েক জন ছাত্র যায়
শিক্ষকের বাড়ি।
নিয়ে আসেন তাহাকে,
অনেক মিনতি করি।

যেই ছাত্র বলেছিল
মস্কারি করে কথা।
তাহার উপর শিক্ষকের
মনে, থাকিল ব্যথা।

ছাত্রটা মনে মনে
সংকল্প করিলো।
সংকল্প মতে, মাছ,
সে নাহি খাইলো।

আজ থেকে আমরা সবায়
ঐক্য বদ্ধ হই।
শিক্ষকের সঙ্গে মস্কারি
করিব না কেহই।

শিক্ষকের সঙ্গে যে,
মস্কারি করিবেন।
জানিয়া রাখ সেই ছাত্র,
জীবনে দুঃখ পোহাইবেন।

——-বন্ধুকে জানিয়ে দাও

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments