জীবনের ঋণ
ফেরদৌস আহমেদ
আমি ঋণী চিরদিন আমি তার কাছে ঋণী
জীবনের এই দুর্গম পথের সঙ্গী হয়েছে যিনি।
মাঝপথে এসে খুলে দেখি আজ জীবনের অভিধান
লিখা আছে তাতে আমার সকল তাহারি প্রেমের দান।
তার দুটি ঠোঁটে ফুটিয়াছে যত হাসির পুষ্প তরু
ফুটিয়াছে সব ফুল পল্লবে রাঙাতে আমার মরু।
আমার সুখের খেদমতে সদা রেখেছে তাহার সুখ
আমার চোখের অশ্রু ঠেকাতে কেঁদেছে তাহার চোখ।
জীবনের ঝড়ে জীবন তরণী যতবার গেছে হেলে
দুঃসাহসীনি সাগরে নামিয়া দুহাতে ধরেছে ঠেলে।
অজস্রবার ডুবতে বসেছি ঝড়ের কবলে পড়ে
ডুবতে পারিনি ,কঠিন হস্তে রেখেছে সে হাল ধরে।
মাঝ দরিয়ায় উঠিয়াছে ঝড় দুর্গম কালো রাত
উঠে যত ঢেউ তত জোরে সেও ধরিয়া রেখেছে হাত।
আমারে রাঙ্গাতে কখন ও সে হাতে নিয়েছে ফুলের তোড়া
আমারে বাঁচাতে সে হাতে আবার নিয়েছে বিষের ছোড়া।
আমি ঋণী আজন্মকাল আমি তার কাছে ঋণী
সস্তা কাঁচের চুড়ি ও সে হাতে পরাতে পারিনি কিনি।