ইমামগণের মর্যাদা
লেখায়;-ফেরদৌস আহমেদ
বই :-কালের চিত্র
ইমাম নিয়ে রাষ্ট্র সমাজ মুসল্লিদের চেতন হোক
সবার সাথে তাল মিলিয়ে ইমামগণের বেতন হোক।
ইমাম মানে মুসলমানের নামাজ পড়ার মুন্ড মূল
ইমাম মানে বাগের রাজা গোলাপ গাঁদা পদ্ম ফুল।
ইমাম হল পালের গদা যার পেছনে চলবে পাল
তার হাতে যে মুসলমানের নামাজ পড়ার বৈঠা হাল।
ইমাম হল এমন নেতা অমর্যাদা করলে যার
আকাশ বাতাস পাতাল চেপে উতলে উঠে অন্ধকার।
পাহাড় সমান মর্যাদা মান দিলেন যারে দ্বীন ইসলাম
সমাজে তার মান দেখিলে ব্যথায় ঝরে অশ্রু ঘাম।
আল্লাহ নবীর নির্ধারিত সম্মানী সেই ফুলখানি
অনাদরে পড়ছে ঝরে, পায়না কোনো ফুলদানি।
ইমামগণের মান নিয়ে আজ মুসলমানের নেই চেতন
দিন মজুরের বেতন যাহা দেই না তারে সেই বেতন।
সারাটা মাস নামাজ পড়ে সম্মানি দেই সাত হাজার
ভাবি না কেউ কেমন করে চলে রে তার হাট বাজার।
ভাবি না এই অল্প টাকায় কেমনে তাহার জীবন যায়
ভাবি না তার ছেলে মেয়ে কি পরে আর কি বা খায়!
তাদের দিকে করি না কেউ বাস্তবতার দৃষ্টিপাত
দেখি না তার বক্ষে চলা অভাব দুঃখের জলপ্রপাত।
কমিটির লোক এদের সাথে করে এমন দূরআচার
ইমাম যেন পথের ধুলো উনারা সব তোর পাহাড়।
কথায় কথায় ইমামদেরকে যেই পাপীরা চোখ রাঙায়
জানিনা তার জায়গা হবে সাত নরকের কোন জায়গায়।
ইমাম গণের থাকে যদি পেটে ক্ষুধা চক্ষে জল
কন্ঠে তাদের কেমন করে মধুর কেরাত আসবে বল!
বেতনে তোর সারা মাসের পান্তা লবণ হয় না যার
সেই ইমামের নামাজ দিয়ে খুলবে না তোর স্বর্গ দ্বার।
সত্যি যদি মুমিনরা সব নামাজ দিয়ে স্বর্গ চান
আগে তবে পুর্ন করুন ইমামগনের পূর্ণমান।