আজকে আমার বিদায়
লেখাঃ মোছাঃ রহিমা খাতুন ১১/০১/২০২৩ বুধবার
আমরা সবাই নিয়মের বেড়াজালে বন্দী। নিয়ম ভাংগতে হয়তো অনেকেই পারে। কিন্তু নিয়ম কে অস্বীকার করা অসম্ভব। যেমন জন্ম মৃত্যু চিরসত্য। আর এর মাঝের সময় গুলোর নাম জীবন। যেখানে পাওয়া-না পাওয়া, হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, জয়-পরাজয় সহ অনেক কিছু মিলিয়েই জীবন। আমরা যখন জন্মেছিলাম সেই থেকেই জীবনের অধ্যায় শুরু, আর শেষ হয় মৃত্যুতে। এর মাঝে রয়ে যায় সব স্মৃতিতে। জন্মের পর ঘরে থাকা। একটু হামাগুড়ি দিয়ে বারান্দায় আসা। ছোটছোট পায়ে আংগিনা পার হওয়া। গল্প টা ছোট্ট হলেও অনেকটা সময় নিয়ে ঘটেছে ঘটনা গুলো। তারপর হেটে পাড়া বেড়ানো আর শেষে দৌড়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ানোর মজার মজার সব মূহুর্ত। দূরন্ত শিশুকালে উড়ন্ত ভাবে বেড়ে উঠার কত শত সহস্র স্মৃতি চোখে আজো ভাসে। পেরিয়ে গেছে বেশ কিছু বছর। আমার ঘর, আমার বাড়ি, আমার পাড়া, আমার গ্রাম বলে বলে মুখে ফেনা তুললেও এখন নাকি আর এসব আমার নেই। ভাবা যায়? যেখানে বেড়ে উঠেছি সেই আমার গ্রামের প্রতিটি যায়গা আমার চেনা, গাছপালা, পুকুর, বিস্তৃর্ন মাঠ,,,,, আহা ছেলে বেলা। সেই বৃষ্টিতে ভিজে খেলাধুলা, ঝড়ের সময় আম কুড়ানো, পুকুরে সাতার কাটা,,,, কত কিছু। সময়ের পরিক্রমায় আমার প্রিয় গ্রামে আসবো ১ মাস পর, তারপর ১ বছর পর, তারপর হয়তো আর খুব একটা আসায় হবেনা। কারন, এটাই নিয়ম। জন্ম, বেড়ে উঠার যায়গাটা আমার না। চেনা পথ গুলো মিলিয়ে যাবে। মাঠে খেলার যায়গায় বড় বড় বাড়ি হবে। চেনা গাছ গুলো আর থাকবেনা। বদলে যাবে পুরো এলাকাটা। আর আমি স্মৃতি হিসেবে মনে রাখবো সেই চেনা দৃশ্য গুলো। যে মানুষ গুলোর সাথে হাসি আনন্দ, দুঃখ কষ্টে, কথায় গল্পে বড় হয়েছি। একদিন শুনবো অমুক মারা গেছে, বুক কেপে উঠবে কিন্তু আসাটা আর হয়ে উঠবেনা। হায়রে জীবন।
মেয়েদের এটা যে কত বড় ত্যাগ সেটা আগে অনেকেই উপলব্ধি করেনা। ঠিক এভাবেই মেয়েরা বাবার বাড়ি থেকে আলাদা হয়ে শ্বশুর বাড়ি মানিয়ে নেয়। বদলে যায় ঠিকানা। অথচ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা সঠিক মূল্যায়ন পায়না।